জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করার নিয়ম

আপনার জন্ম নিবন্ধনটি ১৭ সংখ্যার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন অর্থাৎ অনলাইনে নিবন্ধিত থাকলে ঘরে বসেই জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করতে পারবেন। আপনি কি আপনার জন্ম সনদ ডাউনলোড করতে চাচ্ছেন? তাহলে জেনে নিন জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত।

১৮ বছরের কম বয়সী সকলের জন্যই জন্ম নিবন্ধন সনদ দেশের নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র। এই সময়কালে জন্ম নিবন্ধন প্রদর্শন করতে না পারলে, সরকারি ও বেসরকারি নানান সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে হাতের কাছে জন্ম নিবন্ধনের মূল কপি না থাকলে তা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। তাই কম সময়ে প্রয়োজন মেটাতে অনলাইন থেকে জন্ম নিবন্ধন ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন।

এক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধনের মূল কপি পাবেন না। তবে অনলাইন কপিটি দেশের সর্বত্রই ব্যবহার করতে পারবেন। জন্ম নিবন্ধনের অনলাইন কপি ডাউনলোড করার বিস্তারিত প্রক্রিয়াটি জানতে পারবেন এই লেখা থেকে।

জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করার নিয়ম

জন্ম সনদ ডাউনলোড করার জন্য জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ওয়েবসাইট ভিজিট করে নিবন্ধন যাচাই পেইজে প্রবেশ করুন। তারপর আপনার ১৭ সংখ্যার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন নম্বর লিখে YYYY-MM-DD ফরম্যাটে জন্ম তারিখ লিখুন। সর্বশেষ, ক্যাপচার (গানিতিক সমস্যার) উত্তর দিয়ে Search বাটনে ক্লিক করুন। জন্ম নিবন্ধনের যাবতীয় তথ্যের পেজ আসলে, কি-বোর্ড থেকে Ctrl +P একসাথে চেপে Save to PDF করুন, অথবা Print লেখাতে ক্লিক করে সংযুক্ত প্রিন্টার থেকে প্রিন্ট করে নিন।

জন্ম সনদ ডাউনলোড করতে চাইলে তা অবশ্যই ডিজিটাল বা অনলাইন হতে হবে। তাই আপনার জন্ম নিবন্ধনটি অনলাইন করা কিনা তা আগেই যাচাই করে নিন। অনলাইন করা না থাকলে ইউনিয়ন অথবা পোরসভা অফিস থেকে সেটি অনলাইন করিয়ে নিতে হবে।

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কি-না যাচাই

আপনার জন্ম সনদটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১৭ সংখ্যার হলে বুঝতে হবে এটি ডিজিটাল জন্ম সনদ এবং অনলাইনে সাবমিট করা আছে। ডিজিটাল জন্ম সনদ ছাড়া জন্ম নিবন্ধন ডাউনলোড করতে পারবেন না। পুরাতন ১৬ সংখ্যার জন্ম সনদের কপি bdris সার্ভারে নেই।

১৬ সংখ্যার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার হলেও তা ১৭ সংখ্যার বানিয়ে অনলাইনে সাবমিট হয়েছে কিনা জানতে পারবেন। সেজন্য আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বরের শেষের ৪ সংখ্যার পূর্বে ০ (শূন্য) বসিয়ে ১৭ সংখ্যার বানিয়ে। যেমন: ২০১০১৯১৭৫৭৫১০৩৭৮৯ । তারপর জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কি-না যাচাইয়ের জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

• প্রথমেই ভিজিট করুন, https://everify.bdris.gov.bd
• ওয়েব পেইজের ১ম ঘরে নতুন ১৭ সংখ্যার নিবন্ধন নম্বর লিখুন।
• ২য় ঘরে YYYY-MM-DD ফরম্যাটে সঠিক জন্ম তারিখ লিখুন।
• স্বয়ংক্রিয়ভাবে আসা ক্যাপচা (গানিতিক সমস্যা) পূরন করুন।
• সার্চ (Search) বাটনে ক্লিক করুন।

ব্যাস, এবার জন্ম সনদটি ডিজিটাল করা না হলে No Result Found লেখা আসবে। অন্যদিকে, জন্ম নিবন্ধনটি অনলাইন করা হলে নিবন্ধনের বিস্তারিত তথ্য দেখতে পাবেন এবং প্রয়োজন হলে তা ডাউনলোড করতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধন ডাউনলোড করতে কি কি তথ্য লাগবে 

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন থেকে ডাউনলোড করার জন্য প্রয়োজন হবে:

• অনলাইন জন্ম নিবন্ধন নম্বর (Birth Registration Number);
• জন্ম নিবন্ধনের তথ্য অনুযায়ী জন্ম তারিখ (Date of Birth)
• একটি স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটার।
• ইন্টারনেট কানেকশন।

এই দুটি তথ্য জানা থাকলেই bdris ওয়েবসাইট থেকে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করে ডাউনলোড করতে পারবেন। আপনার জন্ম নিবন্ধনটি অনলাইনে থাকলে সেটির তথ্য QR কোড সহ দেখতে পাবেন।

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ওয়েবসাইটে ভিজিট করে, জন্ম নিবন্ধন নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে যাচাই করে জন্ম নিবন্ধন সনদটি ডাউনলোড করতে পারবেন। আপনার জন্ম নিবন্ধন টি ডিজিটাল বা অনলাইন হলে, নিবন্ধন যাচাইয়ের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো নিয়ে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

ধাপ ১: জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন যাচাই ওয়েবসাইটে প্রবেশ

জন্ম সনদ ডাউনলোড করার জন্য, সরকারি রেজিস্টার জেনারেলের কার্যালয়ের, স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত- জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন (bdris) ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। সরাসরি নিবন্ধন যাচাইয়ের ওয়েবপেজে প্রবেশ করতে ভিজিট করুন, https://everify.bdris.gov.bd/ -এই লিংকে। 

নিবন্ধন যাচাইয়ের ওয়েবপেজে ভিজিট করার পর একটি অনুসন্ধান ফরম দেখতে পাবেন। এখানে আপনার ১৭ অংকের জন্ম নিবন্ধন নম্বর, জন্মতারিখ দিয়ে একটি গাণিতিক সমস্যার উত্তর লিখতে হবে। এখানে আপনি জন্ম নিবন্ধনের পাশাপাশি মৃত্যু নিবন্ধনও যাচাই করতে পারবেন। সেজন্য, ‘Click here to verify death record’ লেখাতে ক্লিক করতে হবে। 

ধাপ ২: জন্ম নিবন্ধন নম্বর প্রদান

নিবন্ধন যাচাই ওয়েবপেজের প্রথমেই ‘Birth Registration Number’ লেখাটি এবং তার নিচে একটি বক্স দেখতে পাবেন। সেই বক্সে আপনার ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন নম্বরটি সঠিকভাবে পূরণ করুন। জন্ম নিবন্ধন নম্বর ১৭ ডিজিটের কম হলে, তা গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই ভালোভাবে জন্ম নিবন্ধন নম্বর যাচাই করে তারপর তথ্য পূরণ করুন।

ধাপ ৩: জন্ম তারিখ প্রদান

নিবন্ধন যাচাই ওয়েবপেজের দ্বিতীয় অংশে ‘Date of Birth (YYYY-MM-DD)’ লেখা দেখতে পাবেন। এখানে জন্ম নিবন্ধন অনুসারে আপনার জন্ম তারিখ লিখতে হবে। অবশ্যই আপনার জন্ম তারিখটি YYYY-MM-DD (বছর-মাস-দিন) -এই ফরম্যাটে লিখতে হবে। অর্থাৎ, 

• প্রথমে আপনার জন্ম সালের ৪টি সংখ্যা (YYYY), যেমন: 2010 লিখতে হবে। 
• তারপর জন্ম তারিখের মাসের ২টি সংখ্যা (MM), যেমন: আগস্ট মাস হলে- 08, নভেম্বর মাস হলে, 11 লিখতে হবে।
• সর্বশেষ, জন্ম তারিখের দিন (DD), যেমন: 11 লিখতে হবে। 

এছাড়াও আপনি নিচের ক্যালেন্ডার অপশন থেকে আপনার জন্ম তারিখটির বছর, মাস ও দিন/তারিখ সিলেক্ট করতে পারেন।

ধাপ ৪: ক্যাপচা পূরণ ও অনুসন্ধান

সর্বশেষ ধাপে, আপনাকে হিউম্যান ভেরিফিকেশনের জন্য একটি ক্যাপচার পূরণ করতে হবে। জন্ম নিবন্ধন ডাউনলোডের ক্ষেত্রে ক্যাপচা গুলো সাধারণত গাণিতিক সমস্যা (যেমন: যোগ, বিয়োগ) হয়ে থাকে। এখানে সহজ একটি গাণিতিক সমস্যার সমাধান লিখতে হবে। 

নিচের দেওয়া চিত্রে ক্যাপচা হিসেবে দেখতে পাচ্ছেন, 95-35=? অর্থাৎ, 95 থেকে 35 বিয়োগ করলে ফলাফল কত হবে, তা লিখে দিলেই ক্যাপচা পূরণ হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে, ফলাফলের ঘরে 59 লিখতে হবে।

জন্ম নিবন্ধন নম্বর, জন্ম তারিখ ও ক্যাপচা পূরণ সম্পন্ন হলে, নিচের সার্চ (Search) বাটনে ক্লিক করুন। 

ধাপ ৫: জন্ম নিবন্ধন যাচাই কপি

উপরোক্ত ভাবে আপনার দেওয়া সকল তথ্যগুলো সঠিক হলে, পরবর্তী পেজে সংশ্লিষ্ট জন্ম নিবন্ধনের অনলাইন ডাটাবেজে থাকা তথ্যগুলো দেখানো হবে। সাধারণত জনপ্রশাসন কার্যালয়ে থেকে যেই জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে থাকে, তা থেকে জন্ম নিবন্ধন যাচাই কপি ভিন্ন।

এখানে নিবন্ধনকারীর তথ্য অনুযায়ী সার্ভারে লিপিবদ্ধ বিষয়গুলো দেখানো হয়। যেমন:

• ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন নম্বর;
• জন্ম তারিখ;
• জন্ম নিবন্ধনধারী ব্যক্তির নিজের ও পিতা-মাতার নাম বাংলা ও ইংরেজিতে।
• জন্ম নিবন্ধনধারী ব্যক্তির ঠিকানার সম্পূর্ণ তথ্য।
• লিঙ্গ;
• জন্ম নিবন্ধন ইস্যুকারী জনপ্রশাসন কার্যালয়ের নাম ও ঠিকানা;
• ইউনিক জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাইয়ের জন্য QR Code।

এটি ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা কার্যালয় থেকে দেওয়া জন্ম সনদের অনুরূপ সকল তথ্য বহন করে। তবে এর গঠন ভিন্ন এবং ইউনিয়ন পরিষদ সচিব/ চেয়ারম্যানের সীলমোহর থাকবে না।

জন্ম নিবন্ধন ডাউনলোড পিডিএফ

অনলাইন থেকে জন্ম নিবন্ধনের মূল কপি করা যায় না। তাই আমরা জন্ম নিবন্ধনের যাচাইয়ের পর যেই সার্ভার কপিটি দেখতে পাই, তা মূলত একটি পিডিএফ ফাইল। নিবন্ধনের এই পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করতে, আপনার কি-বোর্ড থেকে Ctrl + P একসাথে চাপুন। এবার কম্পিউটার স্ক্রিনে একটি প্রিন্ট ডায়লগ বক্স ওপেন হবে।

এবার Print Preference- এর ডান দিকে Destination অপশনের Microsoft Print to PDF লেখার পাশে ড্রপডাউন এরো (🔽)- তে ক্লিক করে Save to PDF সিলেক্ট করে PDF ফাইলটি ডাউনলোড করতে পারবেন। এভাবে জন্ম নিবন্ধনের কপিটি পরবর্তীতে প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।

অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের পিডিএফ ফাইলটি প্রিন্ট করার জন্য, Print Preference থেকে পেজ লেআউট এবং More settings থেকে অন্যান্য অপশন গুলো প্রয়োজন অনুসারে সিলেক্ট করুন। তারপর Print লেখাতে ক্লিক করলেই সংযুক্ত প্রিন্টার থেকে এটি প্রিন্ট করতে পারবেন। এছাড়াও মোবাইল থেকে জন্ম নিবন্ধন ডাউনলোড করতে চাইলে, ওয়েবপেজটি ডেস্কটপ মোড (Desktop Mode) করে স্ক্রিনশট নিয়ে সংরক্ষণ করতে পারেন।

জন্ম নিবন্ধন যাচাই কপি ডাউনলোড

উপরোক্ত আলোচনায় দেখানো নিয়ম অনুসরণ করে আপনি ঘরে বসেই আপনার জন্ম নিবন্ধনের অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। আপনার কম্পিউটার বা ডিভাইসের সাথে কোন প্রিন্টার সংযুক্ত থাকলে, জন্ম নিবন্ধনের যাচাই কপিটি সাথে সাথেই ডাউনলোড করে প্রিন্ট করা যাবে। 

তবে আপনি যদি একজন মোবাইল ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন, তাহলে শুধুমাত্র জন্ম নিবন্ধনের তথ্য অনলাইনে যাচাই করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র রেজিস্টার জেনারেলের কার্যালয়ের টাটা বেঁচে থাকা নিবন্ধনের তথ্যগুলো দেখতে পাবেন। মোবাইল থেকে প্রিন্ট কিংবা ডাউনলোড করার কোন অপশন না থাকায় জন্ম নিবন্ধন যাচাই কপি ডাউনলোড করতে পারবেন না। তবে প্রয়োজন হলে স্ক্রিনশট নিয়ে তা ব্যবহার করতে পারবেন।

Birth Certificate জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড

Birth Certificate ডাউনলোড করার জন্য জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ওয়েবসাইটের, https://everify.bdris.gov.bd/ এই লিংকে ভিজিট করুন। তারপর নিবন্ধন অনুসন্ধানের ওয়েবপেইজে আপনার ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন নম্বর ও জন্ম তারিখ লিখুন। সর্বশেষ, ক্যাপচার (গানিতিক সমস্যার) উত্তর দিয়ে Search বাটনে ক্লিক করুন।

ব্যাস, bdris ওয়েবসাইটে আপনার নিবন্ধনের তথ্য থাকলে, তার Online-based তথ্যগুলো দেখতে পাবেন। তারপর কি-বোর্ড থেকে Ctrl + P একসাথে চেপে জন্ম নিবন্ধন সনদটির পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড এবং প্রিন্ট করতে পারবেন। তবে আপনার জন্ম নিবন্ধনে কোন ভুল থাকলে তা সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

হারিয়ে যাওয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড

জন্ম নিবন্ধন সনদ হারিয়ে গেলে তা অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন না। তবে হারানো জন্ম সনদের নিবন্ধন নম্বর ও জন্ম তারিখ জানা থাকলে, অনলাইন থেকে তার সার্ভার কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধন হারিয়ে গেলে তা পুনরায় পেতে, আপনার নিবন্ধনের সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা কার্যালয়ে যেতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তাদের কাছে আপনার জন্ম সনদের তথ্যগুলো দিলে তারা অনলাইন থেকে নিবন্ধন যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিবে। সেক্ষেত্রে সাথে সাথেই হারানো নিবন্ধনটি রেজিস্টার জেনারেলের কার্যালয়ের ডাটাবেজ থেকে রিপ্রিন্ট করে দিবে।

এছাড়াও বর্তমানে জন্ম নিবন্ধন হারিয়ে গেলে bdris ওয়েবসাইট এর ‘জন্ম নিবন্ধন’ মেন্যু থেকে- ‘জন্ম নিবন্ধন সনদ পুনঃ মুদ্রণের জন্য আবেদন করার সুযোগ রয়েছে।

ইউনিয়ন পরিষদ জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড

ইউনিয়ন পরিষদ জন্ম নিবন্ধন সনদ বলতে জন্ম নিবন্ধনের মূল কপিকে বোঝানো হয়। জন্ম নিবন্ধনের মূল কপির অনুরূপ সনদ অনলাইন থেকে ডাউনলোড করা যায় না। তাই মূল কপি পেতে হলে আপনার নিবন্ধনের সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/ সিটি কর্পোরেশন ইত্যাদি জনপ্রশাসন কার্যালয়ে যোগাযোগ করুন। 

জন্ম নিবন্ধনের মূল কপিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/ইউনিয়ন পরিষদ সচিব এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার চেয়ারম্যানের সাক্ষর যুক্ত থাকে। কিন্তু অনলাইনে তা সংযুক্ত করা সম্ভব নয়। তাই মূল কপির জন্য আবেদন করলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তা পেয়ে যাবেন।

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোডের প্রয়োজনীয়তা

তাৎক্ষণিকভাবে নানা প্রয়োজনে জন্ম নিবন্ধনের ডাউনলোড করা অনলাইন কপির দরকার হতে পারে।

স্বাভাবিকভাবে, জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করার পর আপনার নিবন্ধন সনদটি যাচাই করে অনলাইন হয়েছে কিনা জানতে পারবেন। তারপর সরাসরি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ/ পৌরসভা/ সিটি কর্পোরেশন কার্যালয় থেকে তার মূল কপি সংগ্রহ করতে পারবেন। 

তবে আপনি যদি নিবন্ধিত এলাকা থেকে দূরে অবস্থান করেন এবং জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন হয়, তাহলে জন্ম নিবন্ধনের অনলাইন কপি ডাউনলোড করে আপনার প্রয়োজনীয়তা মেটাতে পারেন। জন্ম নিবন্ধন এর অনলাইন কপিটি মূল কপির মতোই সর্বত্র ব্যবহার করতে পারবেন।